27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ২৬ সদস্য নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফায় সামরিক অভিযানের পাশাপাশি উত্তরেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হামলায় অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাাশি ঘটছে প্রাণহানিও।

এর মধ্যে উত্তর গাজায় একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ২৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা।

গাজার উত্তরে জাবালিয়া শহরের মাঝ দিয়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দিকে দুটি রাস্তা চলে গেছে। যার একটি আস-সিক্কা স্ট্রিট যা একটি রেলপথের পাশ ঘেঁষে গেছে।

রেলপথটি ইসরাইল সৃষ্টিরও আগে গাজা অতিক্রম করত ব্যবহার হতো। রাস্তাটি গাজাকে ইরাক, তুরস্ক, মিশর ও সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কার সাথে সংযুক্ত ছিল।

আরো পড়ুন  গাজায় মসজিদে ইসরাইলি হামলায় ১০ শিশুসহ নিহত ১৬

আস-সিক্কা স্ট্রিটের সমান্তরালে আরেকটি ছোট রাস্তা রয়েছে যা আসালিয়া নামে পরিচিত। যা পাশেই বসবাসকারী সম্ভ্রান্ত আসালিয়া পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহের শেষের দিকে আস-সিক্কা স্ট্রিটে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। তাতে আসালিয়া পরিবারের ২৬ জন সদস্য নিহত হন এবং রাস্তার পাশে তাদের ছয়টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

হামলার সময় আসালিয়া পরিবারের যারা বাড়িতে ছিলেন তাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন। পরিবারের অন্যতম সদস্য ইব্রাহিম আসালিয়া ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম বিষয়ের প্রভাষক তিনি।

আরো পড়ুন  ফিলিস্তিনি যুবকের গাড়িচাপায় নিহত ২ ইসরায়েলি সেনা

ইব্রাহিম আসালিয়া আল জাজিরাকে বলেছেন,
ইসরাইল জাবালিয়ার আস-সিকা স্ট্রিট এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করুন।

ইব্রাহিম আসালিয়া জানান, কয়েক মাসের সামরিক অভিযানের পর গাজার উত্তর থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে এই অঞ্চলে মানুষের জীবনধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছিল। এর মধ্যেই হঠাতই বোমা হামলা চালানো হয়।

আরো পড়ুন  প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যু, জরুরি বৈঠক ইরান সরকারের

ইব্রাহিম বলেন, সম্প্রতি তার পরিবার তাকে জানায় যে, জাবালিয়ায় দোকানগুলো আবারও খুলতে শুরু করে এবং আটা থেকে ছাগলের মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমতে শুরু করে।

কিন্তু সম্প্রতি উত্তর গাজায় আবারও হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফলে আসালিয়া পরিবারের যেসব সদস্য এখনও বেঁচে আছে তারা জাবালিয়া থেকে পালানোর চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ সংবাদ