হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইরান।
সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চ পদস্থ একটি প্রতিনিধিদলকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে ব্রিগেডিয়ার আলী আবদুল্লাহির নেতৃত্বে দলটিকে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে তারা তদন্ত শুরুও করেছে।
মিশন শেষ হলে তদন্তের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলেও জনানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত শনিবার (১৮ মে) আজারবাইজান সফরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তিনি দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসিসহ ওই হেলিকপ্টারের সব যাত্রী নিহত হন। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম রাইসি ও আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এদিকে, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের’ মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ শোক ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মোখবার। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। আর ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আলী বাঘেরি কানিকে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তরিখ ঘোষণা
আগামী ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত প্রার্থীদের নিবন্ধন করা হবে; আর প্রচার-প্রচারণা চলবে ১২ থেকে ২৭ জুন।
দেশটির সংবিধানের ১৩১ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। ফলে দেশটিতে আগামী ২৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।