নাম তার মানিক। নামের মতোই তার চাল চলন। সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল, সময়মতো খাওয়াতে হয় তাকে। না হলেই অস্থির হয়ে উঠে বিশাল দেহী এই ষাড়। গত ৮ বছর ধরে এভাবেই মানিককে মাতৃস্নেহ দিয়ে লালন পালন করছেন হালিমা ও তার পরিবার।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গুলিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে হামিদা আক্তার। গতবছর কোরবানির হাট কাঁপিয়েছে তার ৫৪ মণের মানিক। কাঙ্খিত দাম না পাওয়া ষাড়টি বিক্রি করতে পারেননি তিনি। চাকরি না করে নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গরুটি লালন-পালন করেছেন হামিদা।
মা মারা গেছে ছয় মাস আগে। বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে হামিদার সংসার। প্রতিদিন দানব আকৃতির ষাঁড়টির খরচ মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে। গত বছরের কোরবানির ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পেরে হামিদা নিয়ত করেন তার মানিককে উপহার হিসাবে দিতে চান প্রধানমন্ত্রীকে।
এদিকে বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। উপহার দেওয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা সহমত প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা এবং পরামর্শে প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি পালন করছেন হামিদা। ষাঁড়টির ওজন প্রায় দুই হাজার একশত কেজি।