স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে পরীমণির ডিভোর্সের পর একমাত্র ছেলে রাজ্যই যেন তার পৃথিবী। এবার সেই দুনিয়ায় জায়গা করে নিল এক ছোট্ট পরী। ছেলের পর তার ঘর আলোকিত করেছে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তান। যাকে দত্তক নিয়েছেন তিনি।
তবে সামর্থ্য থাকলে সব এতিম শিশুর দায়িত্ব নিতেন পরীমণি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’র শুটিং করছেন তিনি। সেখান থেকেই কাজের ফাঁকে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় এ কথা জানান পরীমণি।
তিনি বলেন, ‘এখন আমার দুই সন্তান। নতুন একটা জীবন পেয়েছি। এই আনন্দ মা ছাড়া কেউ অনুভব করতে পারবে না। যদি সামর্থ্য থাকতো তাহলে সব এতিম শিশুকে আমার কাছে রাখতাম। তাদের নিয়ে আরও সুন্দর করে বাঁচতাম।’
পরীমণি বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুটিং করছি। পাহাড়ে অনেক গরম। তারপরও দারুণ এক ভালোবাসা নিয়ে শুটিং করছি। কারণ, এটা হইচইয়ের জন্য আমার প্রথম কাজ।
চিত্রনায়িকা বলেন, ‘রঙিলা কিতাব’র গল্পটা ভিন্ন। নতুন পরীমণিকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এর আগে কখনোই এমন চরিত্রে অভিনয় করিনি। বেশ প্রস্তুতি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির শুটিং শেষ করে পরীমণি যাবেন রাঙামাটি। কয়েকদিন সেখানে শুটিং চলবে। ‘রঙিলা কিতাব’ নির্মাণ করছেন পরিচালক অনম বিশ্বাস।
নির্মাতা প্রসঙ্গে সম্পর্কে পরীমণি বলেন, ‘যত্ন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তবে, শুটিং চলাকালীন বলেন না যে কেমন কাজ হচ্ছে। আমি অপেক্ষায় থাকি কখন বলবেন— দৃশ্যটি ভালো হয়েছে। তবে, পুরো দিনের শুটিং শেষ করে তিনি সবাইকে নিয়ে বসেন, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলেন।’
কলকাতা থেকে নতুন চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘প্রস্তাব তো পাচ্ছি। কিন্তু গল্প, চরিত্র সবকিছু পছন্দ হলে তারপর দেখা যাবে। একটি সিনেমা মাত্র করলাম। দেখা যাক দর্শক সেটা কীভাবে নেন। তারপর ওখানকার নতুন সিনেমা নিয়ে বলা যাবে।’
প্রসঙ্গত, ‘রঙিলা কিতাব’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-য়ের জন্য কাজ করছেন পরীমণি।