কে-পপ (কোরিয়ান পপ) তারকা থেকে হয়েছিলেন মুসলিম। তারপর থেকে পরিপূর্ণ ইসলামের পথে পথ চলা। এখন জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জকে জয় করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ইউটিউবার দাউদ কিম। স্বপ্ন ছিল কোরিয়ার মাটিতে মসজিদ নির্মাণ। দুমাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন এলাকায় জমি কেনার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন দাউদ কিম।
মসজিদ নির্মাণ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় কিমকে। তাদের দাবি, এখানে মসজিদ নির্মিত হলে সে এলাকায় কমে যাবে জমির দাম। এমনকি মসজিদ নির্মাণের স্থান থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল থাকায় শিক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে এমন অভিযোগও তোলেন স্থানীয় নাগরিকরা।
অন্যদিকে চুক্তি বাতিল করেন জমির মালিক। স্থানীদের বাধার পাশাপাশি প্রশাসনিক বাধার মুখেও পড়েন দাউদ কিম। আবার দাউদ কিমের নামে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগও তুলেছে অমুসলিম কোরিয়ান বাসিন্দারা।
নানা প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সফলভাবে মসজিদটি নির্মাণ করেন দাউদ কিম। অনেক বিতর্কের মধ্যেও ইনচিওনে এই মসজিদ নির্মাণ সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানান দাউদ কিম।
সময় সংবাদকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে দাউদ কিম বলেন,
অবশেষে আমি আল্লাহর রহমতে মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ করতে পেরেছি। এই মসজিদ নির্মাণে আমাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকে আমার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। সব প্রতিকূলতার মধ্যে অবশেষে মসজিদের কাজ সম্পূর্ণ করলাম। আমি আশা করি সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই মসজিদে আসবেন এবং নামাজ পড়বেন।
এই মসজিদ নির্মাণে বাংলাদেশিদের সহযোগিতা জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে কিম আরও বলেন,
এই মসজিদ নির্মাণে প্রচুর বাংলাদেশি সাপোর্ট দিয়েছে। এই সাপোর্টের জন্য আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। এখন থেকে আমি কোরিয়াতে মসজিদ নির্মাণে আর থেমে থাকবো না। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে চাই কোরিয়ার সর্বত্র।
যে দেশে ৫ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৫৬ শতাংশ ধর্মহীন সেদেশে বিধর্মীদের প্রতিরোধ কাটিয়ে সফলভাবে মসজিদটি নির্মাণ করায় কিমকে অভিনন্দনসহ যেকোনো সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জানা যায়, মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ এটাই কিমের প্রথম নয়। এর আগে তিনি দেগুতে মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেন। কিন্তু সেটিও স্থানীয়দের প্রতিরোধে সফল হয়নি।