ইসরাইলের একদল সৈন্যকে ফাঁদে ফেলে বন্দি করার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে হামাসের দাবি অস্বীকার করেছে ইসরাইল।
রোববার (২৬ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ আমলেই নিচ্ছে না নেতানিয়াহু বাহিনী। গাজার রাফা শহরে হামলা জোরদার করেছে দখলদার সেনারা।
শনিবার স্থল ও বিমানবাহিনী ব্যাপক হামলা চালায়। রাফা ছাড়াও দেইর আল-বালাহ শহর, গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরসহ গাজার অন্যান্য এলাকায়ও হামলা করছে।
পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসও। দুই সপ্তাহ ধরে জাবালিয়া, রাফা এবং বেই হানুনে নেতানিয়াহুর সেনাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি তাদের।
এই অপারেশনগুলোর মধ্যে শেষটি ছিল উত্তর গাজায় শনিবার বিকেলে একটি জটিল অভিযান পরিচালনা, যেখানে তারা জাবালিয়া ক্যাম্পের একটি সুড়ঙ্গে অতর্কিত আক্রমণ চালায়, আর এতে করে সুড়ঙ্গে আটকা পড়ে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা হতাহত হয় এবং কয়েকজনকে আটক করে হামাস যোদ্ধারা।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে হামাসের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক্স পোস্টে জানায়, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্পষ্ট করছে যে তাদের কোনো সৈন্য অপহরণ বা দুর্ঘটনার শিকার হয়নি।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে আলোচনা মিশরে আগামী মঙ্গলবার হবে বলে খবর প্রকাশ করে ইসরাইলি গণমাধ্যম। তবে এ খবর প্রত্যাখ্যান করে হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যখন রাজি হয়েছিল, তখন সাড়া দেয়নি ইসরাইল। তাই এই মুহূর্তে নতুন করে আলোচনার ইচ্ছে নেই তাদের।
অন্যদিকে নিয়মিত হামলা-পাল্টা হামলা চলছে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ শনিবার ইসরাইল সীমান্ত ঘেঁষা ৮টি চৌকিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে। জবাবে ইসরাইলও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে।