ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় আট মাস ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল বাহিনী। এ আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আহত হয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। ভয়াবহ আগ্রাসনের মধ্যেই ইসরাইল সেনাবাহিনী জানালো ঠিক আরও কতদিন ফিলিস্তিনে এ যুদ্ধ চলবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বুধবার (২৯ মে) রাফায় আগ্রাসন চালানোর জন্য শহরটিতে ফের ইসরাইলি ট্যাঙ্ক প্রবেশ করেছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, গাজায় চলতি বছরজুড়েই হামলা চালাবে ইসরাইল। এমনটাই বলছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রথমবারের মতো ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলো রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল রাফা শহরের উপর হামলা বন্ধ করার আদেশ ছিল। এ আদেশ অমান্য করেই শহরটির শরনার্থী শিবিরে মারাত্মক আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, ইসরাইল কীভাবে রাফা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ রাখবে এবং খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করবে তা জানায়নি। এর রায়ে হামাসকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল থেকে জিম্মিদের অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে রাফার বাসিন্দারা বলেন, ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলো পশ্চিমে তেল আল-সুলতান ও ইবনা এবং কেন্দ্রে শাবোরার কাছে গোলা ছুড়েছে।
রাফার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার উপ-পরিচালক হাইথাম আল হামস জানান, তারা আগ্রাসনের সময় তেল আল-সুলতানের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ইসরাইলি সামরিক ড্রোনগুলো শরনার্থী শিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইল দাবি করছে হামাস সদস্যরা বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে লুকিয়ে আছে। যদিও হামাস এ দাবি অস্বীকার করছে।
ইসরাইলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি এক বিবৃতিতে জানান,
ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ২০২৪ সাল জুড়েই যুদ্ধ চালাবে। বন্দি বিনিময়ের চুক্তি ছাড়া ইসরাইল হামাসের ইচ্ছা অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে না।