যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক তথ্য গোপন এবং পর্ণ তারকাকে ঘুষ প্রদান। রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে কারাগারে যেতে হবে না। তিনি কারাবাস এড়াতে পারবেন।
এ বছরের ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।
আদালতের যা করণীয়
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারপতি জুয়ান মারচেন এখন একটি চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করবেন। যদিও এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা।
অপরাধের শাস্তি অনুযায়ী নিউইয়র্ক আদালতের রায় অনুযায়ী অপরাধীকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সাজা প্রদান করা হয়। রায়ের পরে আইনি লড়াইয়ের কারণে তা আরও বিলম্বিত হতে পারে। এ সময়ের মধ্য আইনজীবী এবং প্রসিকিউটররা ট্রাম্পকে শাস্তি প্রদানে শুনানি করবেন। পরবর্তীতে বিচারপতি জুয়ান মারচেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ট্রাম্প কী জেলে যাবেন?
এটা বলা অনিশ্চিত। ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্পের এক থেকে তিন অথবা চার বছর জেল হতে পারে। তবে যারা ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতি করেছে নিউইয়র্কে তাদের জেলে পাঠানোর ঘটনা খুবই বিরল। এক্ষেত্রে শাস্তি স্বরূপ তাদের জরিমানা করা হতে পারে।
এখন যদি ট্রাম্পের জরিমানার পরিবর্তে অন্য কোনো সাজা হয়, তাহলে তাকে জেলে নেয়ার পরিবর্তে গৃহবন্দি করা হতে পারে অথবা কারফিউ জারির বিষয়টি সামতে আসতে পারে। কারণ সাবেক প্রসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের কাছে লাইফটাইম সিক্রেট সার্ভিসের বিশদ তথ্য রয়েছে। এজন্য জেলের বাইরে তাকে নিরাপদে রাখা কঠিন হতে পারে।
যদি ট্রাম্প এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তাহলে তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে কী ট্রাম্প আপিল করবেন?
আদালতের রায় হলে ট্রাম্প দ্রুতই এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন। যদিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হতে কোনো ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী হতে হবে এবং বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর। এছাড়া ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। যা ট্রাম্পের মধ্যে রয়েছে।
যদি শপথ গ্রহণের আগে ট্রাম্পের জেল হয়, তাহলেও তিনি জেল থেকে শপথ নিতে পারবেন। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।