বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর রাজনৈতিক দলসহ তিন পার্টির নিবন্ধন বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা না দেয়ায় দল তিনটি নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকিতে পড়েছে। দল তিনটি হলো, কাদের সিদ্দিকীর (বীর উত্তর) কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি অংশ নেয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ভোটের ৯০ দিনের মধ্যে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হয়। ২৫টি দল তাদের ব্যয়ের হিসাব দিলেও ওই তিনটি দলকে সতর্ক করার পরও হিসাব দেয়নি। তাই শেষ সুযোগ হিসেবে দশ টাকা জরিমানাসহ ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেও হিসাব জমা দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪৪ সিসিসি এর বিধি ৫-তে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে হয়। সে সময়ের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ব্যয় জমা না দিলে ইসি এক মাস সময় দিতে পারে। সে একমাসের মধ্যেও হিসাব জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। কোনও দল অতিরিক্ত এ সময়ের মধ্যেও হিসাব জমা না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করবে ইসি।
যদিও এর আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি যথা সময়ে হিসাব না দেয়নি। পরে অবশ্য জরিমানাসহ হিসাব জমা দিয়ে নিবন্ধন বাঁচিয়েছিল দলটি।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি।