নরসিংদী সদরে একটি স্টেইনলেস স্টীলের দোকানের মালিককে প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার(৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের চিনিশপুরের জেলখানা মোড়ে স্থানীয় ওহাব মোল্লার মোল্লা ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দোকান মালিক ওহাব মোল্লার ছেলে মোহিদ মোল্লাকে লক্ষ্য করে রবিউল ইসলাম ভুইয়া রবি নামের এক সন্ত্রাসী পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভুক্তভোগী মোহিদ মোল্লা বাদী হয়ে রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দুই মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মোল্লা ট্রেডার্স নামক একটি স্টিলের দোকানের সামনে লাল টিশার্ট পরিহিত দুই যুবকসহ কিছু সংখ্যক মানুষের জটলা। দোকানের ভেতরেও কিছু সংখ্যক মানুষ। এরমধ্যে সামনে গিয়ে দফায় দফায় লাল টিশার্ট পরিহিত এক যুবক উত্তেজিত হয়ে দোকানের ভেতর লক্ষ্য করে ফিল্মি স্টাইলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন। এর মধ্যে কেউ একজন গুলিবর্ষণকারী উত্তেজিত যুবককে থামানোর চেষ্টাও করেন।
গুলির ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মোহিদ মোল্লা বলেন, ‘রবি ছাত্রদল নেতা সাদেক ও আশরাফুল হত্যা মামলার আসামি। হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করেন। সে প্রায়ই আমাদের দোকানে চাঁদা দাবি করতো। আজ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি ছুঁড়েন। তার একটি গুলি লাগলে বেচেঁ থাকতাম কী-না জানি না।’
মোহিদ আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি তাকে যেন দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সমাজের জন্য অশনি সংকেত।’
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।’
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম রবি তরোয়া মহল্লার কামাল হোসেন ভুইয়ার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের কর্মী। জেলা ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেকসহ জোড়া খুনের মামলার আসামি। ২০২৩ সালের ২৫ মে একই এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও ছাত্রদল কর্মী আশরাফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।