ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাদের স্লোগান ছিল- ‘আব কি বার, চারশো পার’। অর্থাৎ, চারশোর বেশি আসন জেতার টার্গেট নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছে তারা। ১ জুন শেষ দফার ভোটের পর বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়েছে, ফের ক্ষমতায় আসছেন মোদি। সমীক্ষাগুলো আসনের যে হিসাব-নিকাশ দিয়েছিল তা ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে ভোট গণনা শুরুর পর।
অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) যে জয়জয়কারের কথা বলা হয়েছিল সেটা বাস্তবে না হওয়ার সম্ভাবনা জাগছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন আভাসই মিলছে।
বেলা ১২টার দিকে ইন্ডিয়া টুডের দেয়া সবশেষ গণনার ফল বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৪ আসনে এগিয়ে। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে আছে ২২৮ আসনে। বাকি ১৯ আসনে অন্য দলগুলো এগিয়ে আছে।
শনিবার লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম ও শেষ দফার ভোট গ্রহণের পর থেকেই একে একে আসতে থাকে বুথফেরত জরিপের ফলাফল।
প্রায় সব জরিপই বিজেপি ও এনডিএ ৩৫৯ থেকে ৩৯৫ আসনে জিততে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়। ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দেয়া হয় ১২৫ থেকে ১৬১ আসন।
অধিকাংশ জরিপেই দেখা যায়, বিজেপি শুধু হিন্দি–বলয়ের অবস্থান ধরেই রাখেনি, তারা দক্ষিণেও ভালো করছে; যেমন- তামিলনাড়ু ও কেরালা।
এই দুই রাজ্যে বিজেপি কখনো এককভাবে আসন জিততে পারেনি। এবার অনেক জরিপ দেখিয়েছে, বিজেপি তামিলনাড়ুতে এক থেকে তিনটি আসন পেতে পারে। কেরালায়ও দুই তিনটি আসন জিততে পারে।
বুথফেরত জরিপগুলোর ফলাফল বলছিল, এবার পশ্চিমবঙ্গেও ভালো ফল করবে বিজেপি। এমনকি এই রাজ্যে ৪২ আসনের ২৩ থেকে ২৭ আসন জিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাপিয়ে যাবে বলেও আভাস দেয়া হয়েছিল।
তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, অপেক্ষাকৃত ভালো করছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট।
যে উত্তর প্রদেশে বিজেপির শক্ত ভিত ছিল, সেখানে ৪৩ আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। ৩৬ আসনে এগিয়ে বিজেপি। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে বিজেপির ভালো করার যে ইঙ্গিত ছিল, তাও মিলছে না।