মোংলা পৌর শহর থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে চিংড়ি ঘেরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৭জনকে আসামি করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের স্বজনরা। এরমধ্যে অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোংলা পৌর শহরের মিয়াপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া ২২ বছর বয়সী ভিকটিমের সঙ্গে মুঠোফোনে ১০/১২ দিন আগে পরিচয় হয় উপজেলার বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা রুমান ফকির ও চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রাসেল শেখের সঙ্গে।
এরপর গত ৩ জুন আসামিরা ভিকটিম ওই তরুণীকে সাক্ষাৎ করতে মোংলা কলেজের সামনে আসতে বলে। তাদের কথায় সাড়া দিয়ে ভিকটিম ওই তরুণী সন্ধ্যায় মোংলা কলেজের সামনে আসলে অভিযুক্ত রুমান ও রাসেল তাকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে মামলার ৩নং আসামি রানা শেখের মৎস ঘেরে নিয়ে হাত, মুখ ও চোখ বেধে গণধর্ষণ করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা রাত ১টার দিকে তরুণীকে হাত, মুখ বাধা অবস্থায় চাদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের কাছে ফেলে চলে যায়।
পরে এক মোটরশ্রমিক তরুণীকে নিয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে ৪ জুন রাতে মোংলা থানায় তার স্বজন ৭ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর বাশতলা ইউনিয়নের রুমান ফকির (২৫), চিলা ইউনিয়নের রাসেল শেখ (২২), বাশতলা ইউনিয়নের রানা শেখ (২৪), একই এলাকার সুমন খান (২৯), মিজানুর (৩৬), জামাল (৪৫), আওয়াল (৩৫)।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, চিংড়ি ঘেরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ৭জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।