গ্রিনল্যান্ডের বরফখণ্ডে জায়ান্ট ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এ ভাইরাসটি মেরু অঞ্চলের বরফ গলার গতি মন্থর করতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছে ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, বিজ্ঞানীরা গ্রিনল্যান্ডের বরফখণ্ডে এক রহস্যময় ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন যার নাম রেখেছেন ‘জায়ান্ট ভাইরাস’। কারণ ভাইরাসের আকার সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার থেকে ছোট হয়ে থাকে। কিন্তু এ বিশেষ ধরনের ভাইরাসটি ব্যাকটেরিয়ার থেকে আকারে বড়।
ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এটিকে বিশ্বের জন্য এক অনবদ্য আবিষ্কার হিসাবে বিবেচনা করছেন। তাদের এই গবেষণাপত্রটি মাইক্রোবায়োম জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডে বছরের বেশিরভাগ সময়েই সূযের দেখা মেলে না। তবে বসন্তে মেরু অঞ্চলে সূর্য দেখা দিলে এর তাপে বরফ গলতে শুরু করে। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এ ‘জায়ান্ট ভাইরাসটি’ বরফের উপরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এ ভাইরাইসটি মূলত এক বিশেষ ধরনের তুষার শৈবালকে সংক্রমিত করে।
এ সামুদ্রিক শৈবাল বরফের বর্ণ কালো করে ফেলে। ফলে বরফে সূর্যের আলোকরশ্মি প্রতিফলিত করার ক্ষমতা কমে যায়, যা বরফ গলে যাওয়ার গতিকে মন্থর করে।
আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লরা পেরিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা ভাইরাস সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানি না। তবে আমি আশা করছি এ বিশেষ ভাইরাসের সাহায্যে শৈবালের মাধ্যমে বরফ গলার গতি মন্থর করতে কার্যকরী উপায় হতে পারে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ তুষার শৈবালের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছি। জায়েন্ট ভাইরাসের সাহায্যে এ তুষার শৈবালের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।’
তবে তাদের এ আবিষ্কার কতটুকু কার্যকর হবে, এ বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত না। তবে এটি নিয়ে আরও গবেষণা চলছে।