আকাশে উড়াল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার কানাডার একটি বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বিষয়টি নজরে এলে দেরি না করে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিস্ট্রেস সিগন্যাল পাঠান বিমানের ক্রুরা। এরপরই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ফলে এবারের মতো বিমানের ৩৮৯ যাত্রী এবং ১৩ জন ক্রু প্রাণে বাঁচলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের। এটি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে প্যারিসের উদ্দেশে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়তে শুরু করে। এরপর এটি আকাশে উড়াল দিলে ১২টা ৩৯ মিনিটে বিমানের ডান ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার। তখনই বিমানের ক্রুদের সতর্ক করা হয়। এমনকি বিমানের পেছনের ইঞ্জিনে যে আগুন ধরেছে সেটি গ্রাউন্ডে থাকে মানুষের ক্যামেরায় পর্যন্ত ধরা পড়ে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে এয়ার কানাডা জানিয়েছে, স্টলড কম্প্রেসারের কারণে বিমানর ইঞ্জিনে আগুন ধরেছে। তবে বিমানটি স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করেছে। ওই দিন সন্ধ্যায় যাত্রীদের বদলি বিমানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আলোচনায় বোয়িং। কানাডার এই ঘটনা তাদের সেই তালিকা আরও লম্বা করলো।