17 C
Dhaka
Saturday, January 11, 2025

‘১৫ লাখের’ খাসি কিনে ভাইরাল ইফাত আমার ছেলে নন

এবার কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকা দামের খাসি কিনে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের ছেলে নন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপে নেবেন বলে জানিয়েছেন মতিউর রহমান।

বুধবার (১৯ জুন) সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি সম্পর্কে মতিউর রহমান জানান, ইফাত নামের তার কোনো ছেলে নেই। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে থাকা ওই যুবককে তিনি চেনেনও না। তার একমাত্র ছেলের নাম আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব।

তিনি বলেন,
আমার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করে এখন দেশে আছে। কিন্তু জীবনে দামি গরু কেনা তো দূরের কথা, একটু ভিন্ন রকমের আমার ছেলে। এসব কাজের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আপনারা খোঁজ নিলে জানবেন।

আরো পড়ুন  ‘গ্রাহকের কোটি টাকা’ মেরে লাপাত্তা জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা!

তাহলে কীভাবে আপনার নাম এখানে এলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। এতে আমি বিব্রত। আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়েছি। কিন্তু আসলে আমি কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, সেটাও একটা বিষয়। এটি সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্ম থেকে এগ্রো বিটল প্রজাতির খাসি ১৫ লাখ টাকায় কিনে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। সাদিক এগ্রোতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ওই ছাগলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইফাত বলেন, ‘এ রকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল। এ রকম খাসি আমার জীবনে প্রথম দেখা। এটা আমার হবে, জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে, তাই হইছে। ১১ই জুন এটি ধানমন্ডি-৮ এ ডেলিভারি দেয়া হবে।’

আরো পড়ুন  ডিআইজি পদ পেতে তদবির-দৌড়ঝাঁপ পুলিশের বড় পদে পদোন্নতি আসছে

ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন ওঠে, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। রাজস্ব কর্মকর্তা বাবার দুর্নীতির টাকায় তিনি ১৫ লাখ টাকায় খাসিটি কিনেছিলেন। এ ঘটনায় ওই ছেলে ও তার বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে চলছে বিস্তর সমালোচনা। বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টে খাসির ক্রেতা যুবকের বাবার দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।

আরো পড়ুন  ভয়ংকর প্রতারণার অভিযোগ সেই তনির বিরুদ্ধে, শোরুম সিলগালা

এদিকে ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্ম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এগ্রো বিটল প্রজাতির ওই ছাগলটির ১৫ লাখ টাকা দাম চেয়েছিল। তবে পরে ১২ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি হয়। তবে চমকপ্রদ তথ্য হলো এক লাখ টাকা বুকিং দেয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি।

এ অবস্থায় ক্রেতার দেয়া আগাম টাকা ফেরত দেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, যৌক্তিক কারণ থাকলে অবশ্যই আমরা আগাম টাকা ফেরত দেব। তা না হলে টাকা বাজেয়াপ্তের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সর্বশেষ সংবাদ