28 C
Dhaka
Sunday, September 29, 2024

হলের গ্রিল চুরি করতে গিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল থেকে গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক নেতা ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ইবনে হোসাইনকে আটক করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

জানা গেছে, জুয়েল ইবনে হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসম্পাদক পদে ছিলেন ও চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে সংস্কার কাজের অংশ হিসাবে হলের জানালার গ্রিল পরিবর্তন করে পুরোনো গ্রিলগুলো হলের নিচতলায় রাখা হয়। সেখান থেকে ৩০ কেজি ওজনের দুটি গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ভাঙারির দোকানে এসব গ্রিল বিক্রি হয়। বিকেলে ব্যাটারিতচালিত অটোরিকশায় গ্রিল নিয়ে মূল ফটকের সামনে গেলেই নিরাপত্তাকর্মীরা জুয়েলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ওই নেতাকে ছেড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি।

আরো পড়ুন  কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

প্রক্টুর বরাবর দেওয়া মুচলেকায় জুয়েল বলেন, ‘আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমি মোহাম্মদ জুয়েল, সেশন ১৭-১৮, ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকিং ও বীমা, শাহজালাল হল, রুম নং ৩৩৬ তে থাকি। ভুলবশত কারণে পরিত্যক্ত জানালার দুটি গ্রিল অটোরিকশা যোগে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে শাহজালাল হল হইতে বাইরে নেয়ার পথে জিরো পয়েন্ট গেটে আটকা পড়ি এবং প্রক্টর মহোদয় উপস্থিত হইলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করিব না মর্মে অঙ্গীকার করলাম। যদি ভবিষ্যতে করি পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিবে তা আমি স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়া নিব।’

আরো পড়ুন  ঈদে মিলাদুন্নবীতে মহানবীর নামে আকিকা দেবেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল বলেন, ‘গ্রিল দুটো অনেক পুরোনো। এগুলো কোন কাজে আসবেনা ভেবে না বুঝেই বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাটি অনেক বড় হয়ে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী শাহজালাল হল থেকে জানালার গ্রিল বাইরে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে আটক করে আমাদের খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরিত্যক্ত হোক আর যাই হোক, একজন শিক্ষার্থী কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বাইরে নিয়ে যেতে পারে না। ভুল স্বীকার করে অঙ্গীকার করলে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন  অ্যাসাইনমেন্টের নামে ডিভাইস নির্ভর হয়ে পড়ছে শিশুরা
সর্বশেষ সংবাদ