27 C
Dhaka
Tuesday, July 2, 2024

রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ল ২৮ জেলায়, সবচেয়ে বেশি কোথায়?

সারা দেশে এখন এক আতঙ্কের নাম চন্দ্রোবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। দেশের প্রায় ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর এই সাপ। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

দেশে প্রায় ১০৪ প্রজাতির সাপের মধ্যে ৩০ প্রজাতিই বিষধর, যার মধ্যে ২ প্রজাতির গোখরা, ৫ প্রজাতির কেউটে এবং ভাইপার প্রজাতির মধ্যে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় সবচেয়ে বেশি।

চলতি বছরে সাপটির কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন, যাদের বেশির ভাগই কৃষক ও জেলে। বিষধর হিসেবে রাসেলস ভাইপার বিশ্বে পঞ্চম স্থানে থাকলেও হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে রয়েছে প্রথম অবস্থানে।

আরো পড়ুন  সারি সারি কবর, একসঙ্গে গ্রামের ৭ জনের মৃত্যুতে মাতম

ইতোমধ্যে রাসেলস ভাইপার ছড়িয়েছে দেশের প্রায় ২৮টি জেলায়। তবে সবচেয়ে বেশি আনাগোনা মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার অববাহিকায়। এ অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো ওঝা বা কবিরাজের কাছে না নিয়ে খুব দ্রুত হাসাপতালের নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের।

স্থাস্থ্য অধিদফতরের (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘সাপে দংশন করলে তো প্রাথমিকভাবে বুঝা যাবে না যে সেটা বিষধর নাকি অবিষধর সাপ। তাই সবার উচিত হবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা। কারণ এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকজন আছে। তারা বুঝতে পারবেন সেটা কতটা বিষয়ধর; অ্যান্টিভেনম দিতে হবে কিনা।’

আরো পড়ুন  বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন পেনশন আটকে থাকা সেই শিক্ষকের স্ত্রী

এদিকে সারা দেশে বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,
কোথাও সংকট তৈরির কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ জনগণকে বলব যে, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম আছে। প্রত্যেক হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছি, কোনোভাবেই যেন অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি না থাকে। কোনো হাসপাতালে না থাকলে যেন দ্রুত সংগ্রহ করে। কিন্তু আমি যেন শুনতে না পাই যে, কোনো হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম নেই।

আরো পড়ুন  রাতে মাদরাসায় দুই ছাত্রীকে অফিসে ডেকে দরজা বন্ধ করেন অধ্যক্ষ, অতঃপর...

আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শক দল গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ সংবাদ