সম্ভাব্য ‘বিপজ্জনক’ একটি গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার ৭২ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে এবং এটি প্রতিহত করার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও এখন পর্যন্ত নেই। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার এক ‘অনুমানমূলক অনুশীলন’ থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
মহাকাশ সংস্থার এক অফিসিয়াল রিপোর্ট অনুসারে, এপ্রিল মাসে পঞ্চম দ্বিবার্ষিক ‘প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইন্টারএজেন্সি ট্যাবলেটপ’ অনুশীলন পরিচালনা করেছিল নাসা। গেল ২০ জুন মেরিল্যান্ডের লরেলের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরিতে (এপিএল) ওই অনুশীলনের সারসংক্ষেপ উন্মোচন করে সংস্থাটি।
অনুশীলনে নাসা ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, ‘অদূর ভবিষ্যতে কোনো উল্লেখযোগ্য গ্রহাণুর হুমকি না থাকলেও, সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুর হুমকি কার্যকরভাবে প্রতিহতে বিশ্বের সক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য ওই অনুশীলন করা হয়েছিল।’
অনুশীলনের সংক্ষিপ্তসারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অনুসন্ধানের সময়, অংশগ্রহণকারীরা একটি অনুমানমূলক পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য জাতীয় এবং বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করেছিলেন। যেখানে, পূর্বে শনাক্ত করা হয়নি এমন একটি গ্রহাণু সনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক গণনা অনুসারে, প্রায় ৭২ শতাংশ শঙ্কা রয়েছে যে, আগামী ১৪ বছরের মধ্যে এই গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।’
প্রতিবেদন মতে, সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, ‘২০৩৮ সালের ১২ জুলাই গ্রহাণুটি পৃথিবীতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে প্রাথমিক এই পর্যবেক্ষণ থেকে ওই গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলেও জানিয়েছে নাসা।