28 C
Dhaka
Sunday, September 29, 2024

তিস্তার পানি নয়, মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নয় মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার ভারত। দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা এবং অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। তিস্তার পানি বণ্টন নয় মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার ভারত। দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

আরো পড়ুন  বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুই বার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন,

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মত কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয়, তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

আরো পড়ুন  ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার : সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে

শেখ হাসিনা বলেন,

ভারতের টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ৮ থেকে ১০ জুন নয়াদিল্লি সফর করি। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সফরে আমি ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর একাধিক সরকার প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। পাশাপাশি আলাদাভাবে আমার সঙ্গে ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব আলোচনা ও বৈঠক আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

আরো পড়ুন  পুড়ছে সুন্দরবন পানির সংকটে নেভানো যাচ্ছে না আগুন

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এছাড়া সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। গত ৯ জুন মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে ৭টি নতুন এবং ৩টি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ