সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত নারী চিকিৎসকের নাম ডা. অপর্ণা বসাক (২৭)। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাক ও জ্যোৎস্না বসাক দম্পতির মেয়ে। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন।
জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার পর খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন অপর্ণা। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে অপর্ণার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে এক আত্মীয় অপর্ণার খোঁজ নিতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত্যুর আগে অপর্ণা বসাক তার ফেসবুকে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে লিখেন, ‘ভালো থেকো, আমি আর পারছি না। হয়তো আমিও সবার মতো হেরে গেলাম। তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম খন্দকার মাহাবুব এলাহী।’
পুলিশ জানায়, ওই নারী চিকিৎসক ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রেমের কারণে আত্মহত্যার করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার প্রেমের বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে যে ব্যক্তিকে ট্যাগ দেয়া হয়েছে, তাকে খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত ফেসবুকে ট্যাগ দেয়া খন্দকার মাহাবুব এলাহীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ ওই চিকিৎসকের পরিবার থেকে ঘটনাটি আমাদের জানালে, আমরা রান্নাঘরের দরজা ভেঙে অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুক পোস্ট দেয়া হয়েছে, আমরা তার খোঁজ করছি।’