বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না নতুন কারিকুলামের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকের। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে থাকা আলোচিত শরীফ-শরীফার গল্পের পর এবার নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইয়ে থাকা অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
দেখা যায়, নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইয়ের ৩৮ পৃষ্ঠায় ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে পণ্যের বিজ্ঞাপনের নমুনা’র চিত্র তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি সেখানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ভাইবার, লিংকডইন এবং পিনটারেস্টের লোগোর পাশাপাশি একটি বারকোড ও কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে।
সেখানকার কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে ট্রাক্স (trucss.com.br) নামক পর্তুগিজ একটি নারীদের অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে নারী মডেলরা অন্তর্বাস পরে সেটা বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
‘জীবন ও জীবিকা’ বইটি রচনা এবং সম্পাদনা করেছেন মো. মুরশীদ আকতার, মোসাম্মৎ খাদিজা ইয়াসমিন, হাসান তারেক খাঁন, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, মো. সিফাতুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁঞা।
বইটির শিল্পনির্দেশনায় ছিলেন মঞ্জুর আহমদ, চিত্রণ সুবীর মণ্ডল, প্রচ্ছদ পরিকল্পনা মঞ্জুর আহমদ, প্রচ্ছদ প্রথমেশ দাশ পুলক, গ্রাফিক্স নূর-ই-ইলাহী ও কে. এম. ইউসুফ আলী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, যখন এই কিউআর কোডটি সংযুক্ত করা হয়, তখন এটি খেলাধুলার নানা সামগ্রী বিক্রির ওয়েবসাইট ছিল। পরে এটি হয়তো পরিবর্তন হয়েছে।
এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক রচনায় আরো সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। বিদ্যমান সমাজিক ব্যবস্থার নানা দিক মাথায় না নিয়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করলে বিতর্ক সৃষ্টি হবেই।