চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এক মাদরাসা শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা স্বপনা আখতার।
তিনি বলেন, উপজেলার সরোয়াতলি ইউনিয়নের বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কোরআন আইডিয়াল মাদরাসায় গত ২৫ মে বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ ঘটনা গোপন রাখে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনা গোপন রাখায় ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি হয়েছে। এতে আমার ছেলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, পড়া না পারায় মাদরাসা শিক্ষক শাহীন আখতার আমার ছেলেকে তুমুল বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতের সময় তার বাম চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনার পর ২৯ মে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, তার কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে আমার ছেলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং অন্যান্যদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, আমার ছেলেকে ভারতে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু তা আমাদের পক্ষে খুব ব্যয়বহুল।’
অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার পরিচালক মহিউদ্দিন মাহমুদ মানিক বলেন, ছাত্রটি অন্যভাবে আঘাত পেয়ে থাকতে পারে। অভিভাবক আমাদের বিষয়টি জানালে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কিছু চিকিৎসা খরচ বহন করেছে। আমরা আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বোয়ালখালীর ইউএনও ইমরান হোসেন সজিব বলেন, ‘এখনই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’