নেত্রকোনায় মেয়ের জামাইকে ফাঁসানোর জন্য জীবিত মেয়েকে লুকিয়ে রেখে জামাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে শ্বশুর। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে লুকিয়ে থাকা মেয়ে লিয়া আক্তারকে (২৭) উদ্ধার করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লিয়া আক্তার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দলাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে ও বিদ্যা মিয়ার স্ত্রী।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৮ এপ্রিল লিয়া আক্তার নিখোঁজ হয় জানিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তার বাবা আব্দুল খালেক। মামলায় উল্লেখ করেন- মেয়ের জামাই তার মেয়ে লিয়াকে অজ্ঞাত স্থানে পাচার করে হত্যা করে গুম করেছে। পরে পিবিআই এ মামলার তদন্তভার পেয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তুরাগ থানাধীন শহীদুল্লাহ-আলেয়া আক্তার দম্পতির বাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় লিয়াকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে লিয়াকে তার বাবা তাদের বাড়িতে রেখে আসে বলে স্বীকার করে।
এ ঘটনায় লিয়ার স্বামী তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও খালা শাশুড়ির বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পিবিআই নেত্রকোনা জেলা উক্ত মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। ভিকটিম উদ্ধারের পর থেকে তার বাবা-মা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।