পিরোজপুরের নেছারাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক দেওয়ার সাত দিনের মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন আবিদা সুলতানা (১৯) নামে এক নারী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবিদা সুলতানা একই ইউনিয়নের উত্তর করফা গ্রামের মো. বারেক বেপারীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নের গোবিন্দগুহকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আবিদা সুলতানার সঙ্গে তার স্বামী নাঈম হোসেনের গত (২১ জুন) শুক্রবার ইন্দুরহাট কাজী অফিসে গিয়ে দুজনার সমঝোতার মাধ্যমে তালাকনামায় স্বাক্ষর হয়। স্বাক্ষরের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পাশের ইউনিয়নের মোহাম্মদ কাউসার নামে এক যুবকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে ওই নারী। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যে কাজী দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিলেন ওই কাজী দিয়েই বিয়ে পরিয়ে বর্তমান প্রেমিকের বাসায় রেখে যান তিনি। এ নিয়ে কাজী তোপের মুখে পড়লে সবাইকে না জানিয়ে শটকে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সারেংকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাই চাঁনমিয়া জানান, ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কাজী এনে বিয়ে পরিয়ে দিয়েছি। জানি শরিয়ত মতে এই বিয়ে বৈধ নয়। শুনেছি এদের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত পূর্বেই সম্পর্ক ছিল। বৈধতা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সামাজিক স্বীকৃতি আদায়ের ব্যবস্থা করেছি মাত্র।
এ বিষয়ে তার পূর্বের স্বামী নাঈম হোসেন বলেন, আবিদা সুলতানা আমার সঙ্গে সংসার করতে চায় না বলে একাধিকবার সংসারে অশান্তি হয়েছে। মাঝেমধ্যে বন্ধুর বাসায় যাই বলে বাড়িতে আসত না। আমি আর ঝামেলায় যেতে চাই না বলে তার কথায় রাজি হয়েছি।
ভুক্তভোগী আবিদা সুলতানা জানান, আমার সঙ্গে কাওসারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। আমরা উকিলের মাধ্যমে নোটারি করে বিয়ে করেছি।
কাজী ইউসুফ জানান, নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে বৈধভাবে পুনরায় বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। এলাকাবাসীর অনুরোধে শুধু বিয়ে পরিয়ে দিয়েছি যাতে তারা সাময়িকভাবে একসঙ্গে বসবাস করতে পারে।
নেছারাবাদের পাটিকেলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুর রহমান জানান, মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।