নওগাঁ জেলা ১১টি উপজেলার মাঠে মাঠে ফসলের সুবাতাস বইছে কৃষক আশার স্বপ্ন দেখছে ফসলের মাঠে দুলছে ইরি বোর-ধান কৃষকের বুক ভরা
শস্যভান্ডারখ্যাত নওগাঁর জেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হচ্ছে বোরো ধান। সোনালি ফসলের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। এখন জমিতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এই দৃশ্য দেখলে মনে হবে যেন ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
মহাদেবপুর উপজেলা ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়ন ৯নং চৌমাশিয়ার সরকার পাড়া গ্রামে মাঠে গিয়ে দেখা যায়,—- নওগাঁর মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতগুলো লালচে থেকে সবুজ হয়ে উঠেছে। কৃষকরা অনেক ক্ষেতে পানি দিচ্ছে।
অনেকে আবার নিড়ানি ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত শান্ত কুমার পাহান, উজ্জ্বল কুমার সহ আরও সুব্রত পাহান বিদ্যুৎ কুমার সরকারসহ কৃষক জানান এবারে পানি সেচের খরচ প্রতিবিঘা ১৫০০-২০০০ হাজার টাকা জমিচাষে জন্য ১৮০০-২০০০ টাকা বি এ পি ৪৫০ টাকা পটাস ৪৫০ টাকা জিবসার ১০০ জিংক ১৯০ টাকা দানাাদার বিষ ১৮০ টাকা সালফার ১০০ টাকা ইউরিয়া সার ১১০০ টাকা আগাছা নচসক ২০০ টাকা ঘাস নিড়ানি ৫০০ টাকা বিষ-স্প্রেসহ ১৫০০ টাকা কারনেট পোকা বিষ ৭০০ টাকা ধান মাড়াইসহ ৫ হাজার টাকা কৃষকের প্রতিঘাতে এবারে মোট খরচ হবে প্রায় ১৩-১৪ হাজার টাকা নায্য
জানা গেছে, নওগাঁর অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করলেও, ধানই এখানকার প্রধান ফসল। যুগ যুগ ধরে ধান উৎপাদন করে আসছেন এখানকার কৃষকরা। এ ফসল দিয়ে চলে তাদের সংসার। গত বছর বন্যায় এই অঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আলু আবাদ শেষ করে ওই জমিতে কৃষকরা রোপণ করেছেন বোরো ধান।
মান্দা উপজেলার কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, “গত বছরের বন্যার ক্ষতি পূরণের আশায় ধার-দেনা করে বোরো ধানের আবাদ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার অধিক ফসল ঘরে তোলা যেতে পারে।”
‘বাজারে পণ্যের বাড়লেও আমাদের পরিশ্রমের দাম বাড়ে না’
‘বাজারে পণ্যের বাড়লেও আমাদের পরিশ্রমের দাম বাড়ে না’—
নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষক সজল মিয়া বলেন, ধানক্ষেতে দুই দফায় সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের রং দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয়, তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
এ ব্যাপারে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১১টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৮ লাখ ৯ হাজার ১০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১৯ লাখ ৯৫০ হেক্টর জমিতে। ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
[sc name=”eb” ][/sc]