দুই হাত নেই, নেই ডান পাও। বাঁ পা থাকলেও তা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে অনেক ছোট। শারীরিক সক্ষমতার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ রাসেলের। তাই তো পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম গুঁজে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রাসেল মৃধা।
রোববার (৩০ জুন) নাটোর আল মাদ্রাসাতুল জামহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে।
জানা গেছে, এর আগে ২০২২ সালে রাসেল একইভাবে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।
রাসেল নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র। পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকলেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রাসেলের লেখাপড়ার প্রতি আলাদা স্পৃহা দেখে লেখাপড়ায় উৎসাহ জুগিয়েছেন তার দারিদ্র্য মা-বাবা।
রাসেলের বাবা আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, আমার ছেলের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ রয়েছে। তাই অনেক কষ্টে থাকলেও ছেলেটাকে পড়াশোনা করাতে চাই। আমার প্রত্যাশা, লেখাপড়া শিখে ছেলে একদিন আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমি বিশ্বাস করি এবং দাবি করি, সরকার রাসেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
এ বিষয়ে শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোতাররফ হোসেন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও রাসেলের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ। রাসেল এ বছর আমার প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বিগত পরীক্ষাগুলোতেও সে ভালো ফলাফলে পাশ করেছে। আমরা আশাবাদী যে, রাসেল এবারও ভালো ফল অর্জন করবে।