33 C
Dhaka
Sunday, July 7, 2024

চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোন লোপা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম।

ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন।

জানা গেছে, নাসির হাওলাদারের মেয়ে লোপা আক্তার দাড়িয়াল ইউনিয়নের আলহাজ হজরত আলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। লোপার বাবা নাসির হাওলাদার ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদারের চাচা।

আরো পড়ুন  ঠাকুরগাঁওয়ে স্বর্ণের খোঁজে ভীড়, ইট ভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। লোপা গত ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে যাই। গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে।

আরো পড়ুন  ‘৮ দিন আগে বিয়ে করেছিলাম, তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেললো’

এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত লাশ জানলার গ্রিল থেকে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে চিৎকার দিতে না করে রিয়াজ। এ সময় রিয়াজ বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। লোপা তো আর ফিরে আসবে না।

মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মান-সম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে এ কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্টস্ট্রোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে।

আরো পড়ুন  পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাজির কৃষক, অতঃপর...

পরে লোপার লাশ বাড়িতে দাফন করি। এরপর আমি কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

এ বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাকেরগঞ্জ থানা ওসি আফজাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার বিষয়ে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো কপি থানায় এসে পৌঁছায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ