23 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

মৃতের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারেন এই বাবা!

‘অলৌকিক শক্তি’ দিয়ে মৃত ব্যক্তির দেহে প্রাণ ফিরিতে দিতে পারেন তিনি। ২৬ বছর আগে এমন দাবি করেই ভক্তদের মধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। তা প্রমাণ করতে এক কিশোরীর দেহ কব্জাও করেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন এই বাবা। এরপর সেই ঘটনাই তাকে জেলের রাস্তা দেখিয়েছিল।

যে কিশোরীর মরদেহ কব্জা করে ভোলে বাবা জেলে গিয়েছিলেন, সেই কিশোরী ছিল পঙ্কজ কুমার নামে এক ব্যক্তির ভাতিজি। ভোলে বাবার ভক্ত পঙ্কজ কুমার জানান, তার ভাতিজি ক্যানসারে ভুগছিল। অসুখের তীব্রতায় হঠাৎ এক দিন জ্ঞান হারায় সে। এরপর জ্ঞান ফিরেও এলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।

আরো পড়ুন  রাইসির মৃত্যু বিশাল ক্ষতি: পুতিন

কিশোরীর দেহ নিয়ে তার পরিজনেরা যখন সৎকারের জন্য শ্মশানে পৌঁছান, তখনই সেখানে প্রায় ২০০ ভক্ত নিয়ে হাজির হন ভোলে বাবা। কিশোরীর পরিবারের কাছে বাবা দাবি করেন, তাকে ‘অলৌকিক শক্তি’র মাধ্যমে বাঁচিয়ে তুলবেন তিনি। এরপরই কিশোরীর দেহ নিজের কব্জায় নেন ভোলে বাবা। খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ দেখেই পাথর ছুড়তে শুরু করেন ভোলে বাবার ভক্তরা। এই ঘটনায় ভোলে বাবা, তার স্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

আরো পড়ুন  ভারতীয় মিডিয়ার খবর তিস্তার পর এবার পদ্মার পানি নিয়েও ঝামেলা বাধাতে পারেন মমতা

স্থানীয়রা জানান, ভক্তদের মধ্যে ভোলে বাবার প্রভাব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, ভক্তরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো, ভোলে বাবা সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন নিমিষেই। শুধু তাই-ই নয়, ‘ভূত-প্রেত’, ‘আত্মা’ও তার কাছে ‘বশ্যতা’ স্বীকার করে! এক কথায়, ভোলে বাবা হয়ে উঠেছিলেন ভক্তদের ত্রাণকর্তা।

বহুল আলোচিত এই ‘ভোলে বাবা’ অতীত জীবনে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি করতেন। এরপর ইভটিজিংয়ের দায়ে সেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। জেলও হয় তার। জেল খেটে বেরিয়ে কীভাবে একজন পুলিশ কনস্টেবল ধর্মগুরু হয়ে উঠলেন, সেটিও যেন এক সিনেমার গল্প।

আরো পড়ুন  কাশ্মিরে সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলা, ৫ ভারতীয় সেনা নিহত

উত্তর প্রদেশ পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত নারায়ণ সরকার হরির আসল নাম সুরজ পাল জাটভ। কাসগঞ্জ জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা জাটভ উত্তর প্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। চাকরি জীবনে একবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রথমে সাসপেন্ড করা হয়েছিল জাটভকে, পরে বরখাস্ত হন তিনি। ওই ইভটিজিংয়ের ঘটনায় বেশ লম্বা সময় জেলে ছিলেন সুরজ পাল জাটভ। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেই ‘বাবা’র রূপ ধরেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনি দাবি করতে থাকেন যে সরাসরি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা হয় তার।

সর্বশেষ সংবাদ