সাতক্ষীরা সদরে পানিতে ডুবিয়ে কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগে মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার রইচপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম সুরাইয়া ইয়াসমিন মুক্তা (২৭)। তিনি রইচপুর গ্রামের মুজাফফর হোসেনের মেয়ে ও খুলনার গিলাতলার মুছা শেখের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
সুরাইয়া ইয়াসমিন মুক্তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুরাইয়ার মেয়ে মমতাজ খাতুনকে রোববার দুপুর দুইটা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরাইয়া মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এর আগে তিনি তার নিজের ছেলেকে দুইবার খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। রাতে পুলিশ এসে সুরাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মেয়েকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরের দিকে রইচপুর এলাকার সুরাইয়া ইয়াসমিন মুক্তা তার শিশু কন্যাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। এরপর সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অন্যদের সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে শিশু মমতাজকে বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, শিশুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কথা স্বীকার করায় সুরাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত শিশুর বাবা শেখ মুসা বাদী হয়ে স্ত্রী সুরাইয়ার নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।