জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৭ দিন ধরে অনশন করছেন এক গৃহবধূ। তবে প্রেমিক ও তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছেন। গত বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল থেকে ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনো এলাকার মৃত খোকার ছেলে মহসীনের বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই নারী।
অনশনরত গৃহবধূ বলেন, আমি এ বাড়িতে আসার পর মহসীন ও তার পরিবারের লোকজন ঘর তালা বদ্ধ করে রেখে পালিয়েছে। আজ সাতদিন ধরে এই বাড়িতে পড়ে আছি। তবুও তারা কেউ বাড়িতে আসছে না। শুধু বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, মহসীনের সঙ্গে আমার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। যখন আমার বিয়ে হয়। তখন আমি মহসীনকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সে দেয়নি। পরে আমি আমার পরিবারের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই মহসীন প্রতিনিয়ত আমাকে ফোন দিচ্ছিল। সে আমাকে বলত, তোমাকে ছাড়া ভালো লাগে না। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমি তোমাকে বিয়ে করব। তার এসব মিথ্যা প্রলোভনে আমি বিয়ের ১৭ দিন পর শ্বশুরবাড়ি থেকে মহসীনের সঙ্গে পালিয়ে যাই।
পরে মহসীন আমাকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পৌরসভার বাউসী এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে রাখে। সেখানে আমরা দীর্ঘ দুই মাস স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করি। কিন্তু মহসীনকে বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন টালবাহানা করে পাশ কাটিয়ে যায়। এরপর মহসীন আমাকে ঢাকায় নিয়ে রেখে চলে আসে। পরে আমি বাধ্য হয়েই মহসীনের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। মহসীন যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে মেয়েটির আত্মীয়স্বজনরা সহযোগিতা করে তাকে বিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে মহসীন ভাগিয়ে নিয়ে আসে এবং বিয়ে না করেই দুই মাস স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করে। পরে মেয়েটি বাধ্য হয়েই মহসীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, ওই গৃহবধূ পালিয়ে গিয়ে মহসীনের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেছিল বলে শুনেছি। এখন পর্যন্ত মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।