ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে সোহেল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুই সন্তানের বাবা সোহেল মিয়া বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগ গ্রামের নাগর মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার একই ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। সোহেলের স্ত্রী ফাতেমার ভাই-বোন না থাকায় সোহেল মিয়া শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে সোহেল মিয়া তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করেন। মারধরের পর স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির পাশের প্রতিবেশী খোকন মিয়ার বাড়িতে রাতে থাকেন। ওই রাতে বাড়িতে একা ঘুমান সোহেল মিয়া।
সোহেলের ছেলে রমিন মিয়া বলেন, ‘বুধবার ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে জানালা দিয়ে দেখি বাবা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে স্থানীয় ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।’
ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. আসলাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।