কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে ১০ম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভাঙে ব্রাজিলের। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দলীয় পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে দেশটিতে ঘটে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা।
ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগের একটি ম্যাচের শেষে দিকে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে এক গোলরক্ষককে খুব কাছ থেকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে গুলিবিদ্ধ গোলরক্ষক র্যামন সুজাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের ওই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গ্রেমিও অ্যানাপলিস ও সেন্ট্রো ওয়েস্ত। ম্যাচে
গোলরক্ষক র্যামন সুজার দল ২-১ গোলে হারে। বুধবার (১০ জুলাই) গোইয়ানো চ্যাম্পিয়নশিপে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’।
দুই ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ মুখোমুখি বাদানুবাদ ও হাতাহাতিতে জড়ান গ্রেমিও এবং সেন্ট্রোর ফুটবলাররা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশ উভয়পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা চালায়। তারই এক ফাঁকে গ্রেমিও’র এক ফুটবলারকে ধাক্কা দিয়ে বসেন প্রতিপক্ষের একজন, পরে গোলরক্ষক সুজাও চড়াও হতে গেলে রাবার বুলেটে নিক্ষেপ করে পুলিশ।
ও গ্লোবো তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পুলিশ অফিসার খুব কাছ থেকে গুলি তাক করে শট নেন সুজার পায়ে। ওই সময় র্যামন সুজাকে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেন গ্রেমিও টিম চিকিৎসক দিয়েগো বেন্তো। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মোবাইল আইসিইউতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে জোনাস দুয়ার্তে স্টেডিয়ামের এ ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে গ্রেমিও ক্লাব কর্তৃপক্ষ, গোইয়া রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও প্রাদেশিক পুলিশ।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রশাসনিক সব বিধি অনুসরণ করে কঠোরতার সঙ্গে এই ঘটনা তদন্ত করা হবে। এ কাজে পুলিশ যথাযথ আইন মেনে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং একইসঙ্গে যাতে কেউ এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করতে পারে, এমন আদেশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের দ্বারা সংঘটিত এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মিলিটারি পুলিশের এই ধরনের আচরণ নিরাপত্তা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কাউকে শারিরীকভাবে সুরক্ষা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ অন্যদিকে, গুলি চালানো পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে গ্রেমিও ক্লাব কর্তৃপক্ষ।