19 C
Dhaka
Friday, December 6, 2024

গরুর নাড়ি-ভুঁড়ি ও বিশেষ অঙ্গ রফতানি করে আয় ৫০০ কোটি টাকা!

অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দেয়া গরুর নাড়ি-ভুঁড়ি এবং পিজল (বিশেষ অঙ্গ) এখন রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরে। বছরে আয় হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সম্ভাবনাময় এই ব্যবসা এগিয়ে নিতে সরকারকে ব্যাংক ঋণ-প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহায়তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

শুকানোর জন্য থরে থরে সাজিয়ে রোদে দেয়া হয় গরুর পিজল বা বিশেষ অঙ্গ। ৩-৪ দিন রোদে শুকানোর পর শক্ত হয়ে আসলে তা কাটা হয় পরিমাপ মতো। এরপর বাকি প্রক্রিয়া শেষে রফতানি করা হয় দেশের বাইরে।

আরো পড়ুন  সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ

শুধু পিজল নয়, গরুর নাড়ি-ভুঁড়ি বা ওমাসমও রফতানি হচ্ছে আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে। অপ্রচলিত হলেও দারুণ সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এই ব্যবসা। পাশাপাশি যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ নষ্টের বিপরীতে দেশে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। আমেরিকা ও কানাডায় পোষা প্রাণীর খাবার ও ওমাসম দিয়ে তৈরি হয় খাবার স্যুপ।

সারাবছর যে পরিমাণ পশু জবাই হয় তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সংগ্রহ হয় ঈদুল আজহায়। এ বছর সারাদেশে ষাঁড় কোরবানি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার পিজল সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ লাখের কাছাকাছি। মান ও সাইজভেদে পিজলের বেচাকেনা হয়েছে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়।

আরো পড়ুন  ভারত থেকে আমদানি করা ব্লিচিং পাউডারের চালানে যা মিললো

সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, প্রশিক্ষণসহ সরকারকে সব ধরনের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, দেশের অনেক তরুণ নিজ উদ্যোগেই এসব পণ্য সংশ্লিষ্ট কাজ করছে। এ খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

এই দুই পণ্য রফতানি করে প্রতিবছর দেশে আসছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। পরিসর বাড়াতে পারলে এই খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন  ইসলামী ব্যাংকে বহিরাগতদের গুলি, ৫ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ
সর্বশেষ সংবাদ