ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের গেটের সামনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হলে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে বাধা দিলে চলে যাওয়ার পথে তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে হলের গেটের বাইরে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে হলজুড়ে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, হল প্রাধ্যক্ষের সার্বক্ষণিক হলে থাকার কথা থাকলেও এ সময় হল প্রাধ্যক্ষকে হলে পাওয়া যায়নি। রাত আড়াইটায় হলের শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে হলের টিনশেড থেকে প্রধান ভবন হয়ে বর্ধিত ভবনের (এক্সটেনশন বিল্ডিং) দিকে যায়। এ সময় হলে থাকা ছাত্রলীগের কয়েকজন পদপ্রত্যাশী দ্রুত হল থেকে অন্যত্র চলে যান।
একই সময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন নীরব কেন’, ‘জহু হলে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ এমন নানা স্লোগান দেন। পাশাপাশি হলের ফটকে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে সেগুলো খুলে ফেলেন।
এদিকে, পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়ায় হলের আবাসিক শিক্ষকেরা প্রধান ফটকের সামনে যান। কিছুক্ষণ পরে ফেরত এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন এবং শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে হলে সার্বিক নিরাপত্তা ও বহিরাগত বের করার জন্য হল প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। পরে ভোরের দিকে একটি লিখিত আশ্বাস দেন হলের আবাসিক শিক্ষকেরা।
হলে উপস্থিত না থাকা ও সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রহীম বলেন, আমি বর্তমানে ভিসির বাসভবনে আছি। হলে শিক্ষার্থীদের যা যা প্রয়োজন এবং যেভাবে প্রয়োজন ঠিক সেভাবে কাজ করার নির্দেশনা আবাসিক শিক্ষকদের দিয়ে এসেছি। আমার হলে যেতে সকাল হবে। তবে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি হলে প্রবেশ করেন। তাকে দেখেই শিক্ষার্থীরা আবার হল অফিসের সামনে ভিড় করে।