ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বিমান হামলায় হানিয়া ও তার দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইরানি সংবাদমাধ্যম।
ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ‘ইরানের প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য ইরানে আসা হানিয়া উত্তর তেহরানে যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের একটি বিশেষ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। সেখানে বিমান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন।’
হিজবুল্লাহপন্থি হিসেবে পরিচিত লেবানিজ আল মায়াদিন নিউজ ইরানের একটি সূ্ত্রের বরাতে বলেছে, ‘তেহরানের বাসভবনে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্য দেশ থেকে ছোড়া হয়েছিল।’
সূত্রটি আরও বলছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ভেতর থেকে ছোড়া হয়নি।’
এছাড়াও সৌদি সংবাদমাধ্যম আল হাদাথ একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, তেহরানে হামাসের সিনিয়র নেতা ইসমাইল হানিয়াকে তার বাসভবনে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় প্রায় রাত ২টার দিকে ভবনটিতে আঘাত হানে।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে হানিয়ার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাস।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন, সেখানে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন।
এতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।
হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। তাতে বলা হয়, তেহরানে নিজ আবাসস্থলে ‘বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে’ নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দেশটি। সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, ‘তারা হনিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে বিদেশি গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করবে না।’
এছাড়াও হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইসমাইল হানিয়ার কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড শাস্তির বাইরে যাবে না। অবশ্যই এর জবাব দেয়া হবে।’