24 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

‘জামায়াত-শিবিরের বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না’

অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী-ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনের কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য প্রকাশ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বা ব্যক্তির কোনো বিবৃতি, মন্তব্য, অভিমত এবং উক্তি কোনোভাবেই প্রচার অথবা প্রকাশ করা যাবে না।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইন)-এর ২০-এর ১ ধারা মতে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। আইনে বলা হয়েছে, ২০-এর ১-এর ঙ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ করবে সরকার।

আরো পড়ুন  সেঞ্চুরি থেকে ১ মামলা দূরে শেখ হাসিনা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া কয়েকটি মামলার রায়ে জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রায়ের আলোকে নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে।

আরো পড়ুন  সীমান্তে ধরা পড়ার পর যা বললেন সাবেক বিচারপতি মানিক

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।

যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, সেহেতু সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ১৮ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তাদের সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং উক্ত আইনের তপশিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গসংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।’

আরো পড়ুন  যে কারণে কলকাতায় যেতে পারছেন না আনারকন্যা

প্রসঙ্গত, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হারিয়েছে। গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন ‘অবৈধ ও বাতিল’ ঘোষণা করে রায় দেন। গত বছর আপিল বিভাগে হাইকোর্টের ওই রায় বহাল থাকে। যার ফলে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন করার যোগ্যতা হারায়।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের আমলেও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ