35.3 C
Dhaka
Wednesday, September 11, 2024

৬ বছর বয়সী স্নিগ্ধা বারবার খুঁজছে বাবাকে

কান্না থামছে না খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীর পরিবারের সদস্যদের। স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আহাজারি করছেন নিহতের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা বারবার খুঁজছে বাবাকে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সুমনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস আহাজারি করছেন। পুলিশ কর্মকর্তা, আত্মীয়-স্বজন যাকেই পাচ্ছেন তাকে জড়িয়ে ধরে, পায়ে ধরে স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। তার আহাজারি দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ সদস্যরা।

আরো পড়ুন  ধানক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করল বোন জামাই

রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মঈনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে সান্ত্বনা দেন তাদেরকে। কিন্তু কোনো সান্ত্বনাতেই শান্ত হতে পারেননি মিতু।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন তিনি।

আরো পড়ুন  আখাউড়ায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, পুকুর থেকে উদ্ধার

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় পুলিশ সদস্য সুমন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২/৩ জনের অবস্থা গুরুতর।

সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাস জানান, সুমন এবং তিনি একসঙ্গে ছিলেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে তারা দলছুট হয়ে যান। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ইউনিফর্ম খুলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ড্রেনের মধ্যে ছিলেন। এর মধ্যে আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল সুমনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

আরো পড়ুন  রাতে মেয়ের জামাইয়ের বন্ধুর ফোন পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বাবা, অতঃপর...
সর্বশেষ সংবাদ