27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

এবার ইসরায়েলের সাথে আইনি লড়াইয়ে নামছে মিসর

তুরস্কের পর এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিলো মিসর। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ‘গণহত্যা’ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সাথে
সম্প্রতি নানা ঘটনায় দুই দেশের টানাপড়েনের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে।

মিসরীয় সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজার অংশ দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। প্রবেশ করতে পারছে না মানবিক সহায়তা। ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে শত শত ত্রাণবাহী ট্রাকের সারি।

সব চাপ উপেক্ষা করে রাফাহয় স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েল। বাড়িয়েছে বিমান হামলা। নিরাপদ নয় গাজার কোনো অংশই। প্রাণ বাঁচাতে উপত্যকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটছে লাখ লাখ গাজাবাসী। এমন পরিস্থিতিতে শরণার্থী সংকট বাড়তে পারে মিসরে। বারবারই এমন শঙ্কার কথা জানালেও কান দেয়নি তেলআবিব।

আরো পড়ুন  মদ খাওয়া নিয়ে বাসিন্দা ও নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, অতঃপর...

দফায় দফায় মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় তৈরি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও বাতিল করে দেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানায় কায়রো। বিশেষ করে রাফায় অভিযানকে ঘিরে আরও বাড়ে ক্ষোভ। শেষমেষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিল মিসর। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজেতে-দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, দু’দেশের দীর্ঘদিনের টানাপড়েনের ফলাফল এমন সিদ্ধান্ত।

আরো পড়ুন  ইসরাইল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: হোয়াইট হাউস

লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডালিয়া ফাহমি বলেন, দুই দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। গাজা ইস্যুতে মিসর এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী। প্রথম আরব দেশ হিসেবে তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। সে অবস্থান থেকে মিসরীয় সরকার এক পা পিছিয়ে এলো। ইসরায়েল কিন্তু মিসরের প্রতি আস্থা দেখায়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনেও নেয়নি। দু’দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে কায়রোর সিদ্ধান্ত গভীর প্রভাব ফেলবে।

এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পদক্ষেপে সমর্থন দেয় তুরস্ক। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে গণহত্যার অভিযোগে দেশটির করা মামলার পক্ষে অবস্থান নেয় কলম্বিয়া, লিবিয়া ও নিকারাগুয়াসহ আরও কয়েকটি দেশও।

আরো পড়ুন  আবারও ভয়ংকর মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল ইয়েমেন

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছে। তবে, বিচার কাজে মার্কিন ও ব্রিটিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের শঙ্কা হামাসের। রাফায় স্থল অভিযান নিয়ে মিসর ইসরায়েলকে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করেছে। এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে মিসর। তেলআবিবের রাফাহয় আগ্রাসনের কারণে শরণার্থীর চাপ আরও বাড়বে মিসরের ওপর।

সর্বশেষ সংবাদ