27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

যশোরে মাছের ঘের দখল নিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওসি জহির হাসানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার আবেদনে অন্য দুজন হলেন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ।

বুধবার (১৫ মে) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন  স্বামীর সামনে প্রেমিককে কল করে বিয়ের প্রস্তাব রেহেনার, অতঃপর...

মামলার আবেদন সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০বিঘা জমি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নেন। বর্তমানে সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন। ওই জমির গা ঘেঁষে উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ১০০ জন কৃষকের কাছ থেকে তাদের জমি লিজ নিয়ে ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চেয়ারম্যান মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকিধামকি দিয়ে আসছেন।

আরো পড়ুন  গ্রেনেড নিয়ে ৩ দিন ধরে খেলছিল শিশুরা, উদ্ধার ও বিস্ফোরণ

এ বিষয় নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলেও থানা তা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গত ১ মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিন আসামি উপস্থিত রয়েছেন।

এ সময় ওসি জহির বাদীকে ১৫ দিনের মধ্যে তার জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। অথবা ওসি জহিরকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে সেটা ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেওয়া হবে মর্মে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন  বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ, ওসিকে প্রত্যাহার

জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সর্বশেষ সংবাদ