27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

মায়ের সঙ্গে নামাজ পড়ছিল কিশোরী, ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে গেল ওরা!

মায়ের সঙ্গে নামাজ পড়ছিল কিশোরী। এ সময় ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীতে। এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা। কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন: উপজেলার ২ নং দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. সেজান (১৮), মো. ইউসুফের ছেলে শুভ (১৮), মাঈন উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৭) ও একই এলাকার শুভ (২০)।

আরো পড়ুন  রাতের আঁধারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি ও মদের আসর বসানোর অভিযোগ

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, অপহৃত কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সেজান প্রায় সময় উত্যক্ত করতো ও প্রেম নিবেদন করতো। কিন্তু তার নিবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় দেখে নেয়ার হুমকি দিতো সেজান। সবশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিল ভুক্তভোগী কিশোরী। এসময় সেজান, শুভসহ ৪/৫ জন মিলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন  ‘ধাক্কা মেরেছে, হাত ধরে টান দিয়েছে’ এমন ভুতুড়ে কাণ্ডে অসুস্থ ২০ ছাত্রী

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে নামাজের জায়নামাজ থেকে জোর করে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় রাতেই আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, ফিল্মি স্টাইলে নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।

আরো পড়ুন  মহাসড়কের পাশে লাশ দেখে চমকে ওঠে ছেলে বললেন, ‘এটা আমার মায়ের’

সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক স্বপন দে জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ‘অস্ত্রের মুখে অপহরণ’ হয়েছে কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের কাজ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ