23 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

‘সারাজীবনে এত কবর খুঁড়িনি, এত মরদেহ-ধ্বংসযজ্ঞ কখনো দেখেনি’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা যেন এক মৃত্যুপুরী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

সাদ হাসান বারাকা, গাজা উপত্যকার একজন কবর খননকারী। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যায় নিহত অন্তত ১৯ হাজার ব্যক্তিকে তিনি কবর দিয়েছেন। মধ্য গাজার অন্যতম বৃহত্তম কবরস্থান আল-সুইদিতে ২৮ বছর ধরে কবর খোঁড়ার কাজ করে আসছেন তিনি।

আরো পড়ুন  নতুন অস্ত্রে ইসরাইলে হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

হাসান বারাকা বলেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে কবর খোঁড়ার কাজ করলেও, সারাজীবনে এত লাশ কখনো দেখেননি, এত কবরও খনন করেনি। বারাকা আক্ষেপ করে বলেন, এত মরদেহ আর ধ্বংসযজ্ঞ আগে কখনো দেখেনি।

৬৩ বছর বয়সী বারাকা জানান, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে প্রতি সপ্তাহে পাঁচটিরও কম কবর খুঁড়তে হতো। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২০০-৩০০ মরদেহ দাফন করতে হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজে এখন তার কোনো বিরতি নেই।

আরো পড়ুন  ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা এখন ১৪৫

তিনি বর্তমানে যে কবরস্থানটি পরিচালনা করছেন, সেখানে এতো মরদেহ আসছে যে, আগে দাফন করা কবরগুলোর ওপরে, ফের কবর খনন করতে হয়েছে। বারাকা আগে সেন্ট্রাল গাজার আরেকটি বড় কবরস্থানের তত্ত্বাবধান করতেন। তবে সেখানে এতো মানুষকে দাফন করা হয়েছে যে, এখন নতুন কবর দেয়ার মতো জায়গা নেই।

সর্বশেষ সংবাদ