গাড়ি চাপা দিয়ে দুইজনকে হত্যার পর কোনো অনুশোচনা না দেখিয়ে উল্টো নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছেন এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন সাধারণ মানুষ তরুণীকে ঘিরে ধরেছেন তখন তিনি দম্ভ করে বলছেন, ‘জানো আমার বাবা কে’।
গত ১৯ আগস্ট পাকিস্তানে ঘটে এ ঘটনা। কিন্তু এতদিন পর ওই দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার পর ওই তরুণী হাসছেনও।
জানা গেছে দুইজনকে হত্যা করা ওই তরুণীর নাম নাতাসা দানিস। তিনি পাকিস্তানের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দানিস ইকবালের স্ত্রী। দুর্ঘটনার সময় তিনি একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার চালাচ্ছিলেন।
ওই সময় বাঁক নিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলকে চাপ দেন তিনি। তার গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই এক বাবা ও মেয়ে নিহত হন। দুর্ঘটনায় গুরতর আহত একজন এখনো ভেন্টিলেটরে রয়েছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ ঝেরেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, “মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এবং একজন গরীব নিরীহ বাবা ও মেয়েকে হত্যার পর তার মুখে শয়তানের হাসি। এই সাধারণ-গরীব পাকিস্তানিরা ‘জানো আমি কে?”
আরেকজন লিখেছেন, “যেভাবে নাতাশা #পাকিস্তানের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার সম্পদ এবং অহংকার প্রদর্শন করছেন, এটি লজ্জাজনক। এটিই উচ্চবিত্তদের জবাবদিহিতার প্রতি অসম্মান। যেখানে গরীব মানুষ জেল, দণ্ড, আটক এবং জরিমানার মুখে পড়েন।”
এই তরুণী ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্ঘটনার পর আদালতেও উপস্থিত হননি। তার আইনজীবী দাবি করেন, নাতাশা মানসিকভাবে সুস্থ নয়। কিন্তু জিন্নাহ হাসপাতালের রিপোর্টে দেখা গেছে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং হাসপাতাল ছেড়েছেন।