চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের শেখ আহম্মদ মৌলভি বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদটিতে জোহর ও আসরের নামাজ পড়ানো হয়নি। পরে সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে মাগরিবের নামাজের ব্যবস্থা করে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা বলেন, মসজিদের মোতোয়াল্লি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের আহম্মদ ও তার ভাই আবু জাফরের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে বাড়িতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আবু জাফর, তার স্ত্রী আলেয়া, মেয়ে আসমা ও ছেলে নাছির উদ্দিন বাড়ির সামনে থাকা মসজিদের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন এবং হুজুরকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মুসল্লিরা মসজিদ এলাকায় ছুটে আসেন।
এ সময় ফরিুদুন্নবী, ছাফাসহ কয়েকজনকে মারধর করেন আবু জাফর, আলেয়া, আসমা ও নাছির উদ্দিন। পরে আমরা গ্রামবাসী একত্র হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় তালা ভেঙ্গে মসজিদের দরজা খুলে দেয়। এ সময় মসজিদের মাইকে আজান দিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মোতোয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের আহম্মদ বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
বরগুনায় মাকে মারধর, ছেলে ও পুত্রবধূ গ্রেপ্তার
মসজিদের ইমাম মো. হাসান বলেন, সোমবার সকাল ১১টায় আমি মসজিদের ভেতরে ছিলাম। এ সময় আবু জাফর, ছেলে নাছির উদ্দিন, মেয়ে আসমা ও তার স্ত্রী এসে আমাকে বলে আজ থেকে মসজিদে আজান চলবে না। আজান দিলে আপনার খবর আছে।আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়।
পরে জোহরের নামাজের সময় মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসলে তাদের সঙ্গে জাফর লোকজনের হাতাহাতি হয়। তখন জোহরের এবং পরে তালাবদ্ধ থাকায় আসরের আজান ও নামাজ হয়নি। এরপর বিষয়টি জোরাগঞ্জ থানায় জানানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন,জমির বিরোধের জেড়ে আমার ওয়ার্ডের একটি মসজিদে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে দুই ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা যায়নি। পরে পুলিশ এসে তালা খুলে দেয়।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, দুর্গাপুরে একটি মসজিদে তালা দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দিয়েছে। এরপর মাগরিবের আজান ও নামাজ আদায় করা হয়েছে।