রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গিয়ে দৈত্য দানব হয়ে উঠে, দলের নেতারা জমিদার হয়ে উঠে। এই জমিদার যেন না হতে পারে, দৈত্য দানব যেন না হতে পারে তার জন্য আমরা সংসদে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থার কথা বলেছি। বুধবার (১৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর (ভিপি নূর)।
নুরুল হক নূর বলেন, যেই রাজনৈতিক দল জনগণের ভোট পাবে তারা যেন সংসদে থাকতে পারে। তার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের একটা বিধান। অর্থাৎ কোন দল যদি ১ পার্সেন্ট ভোট পায় সারা বাংলাদেশে সেই দলের ৩ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী থাকবে। কোন ছোট দল যদি ১০ পার্সেন্ট ভোট পায় যেহেতু ৩০০ আসন তার ৩০ জন এমপি থাকবে। তাহলে কোন একক দলের মাতব্বরি সংসদে থাকবে না।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা আমাদের দলসহ জামায়াতের বিভিন্ন দল, একমাত্র বড় ২/১টা দল ব্যতীত সব দল এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।
ভিপি নূর আরও বলেন, প্রতিকূল সময়ে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আজকের যে এই গণঅভ্যুত্থান, যেই পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। ২০১৮ সালে সেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিলাম আমরা। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম আমরা। ২০১৮ সালে আমরা সেই আন্দোলন করতে গিয়ে কীভাবে নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হয়েছি। ইউটিউবে যান ফেসবুকে যান কোটা সংস্কার আন্দোলনের হামলা লিখলেই সমস্ত ডকুমেন্ট চলে আসবে, আপনারা দেখতে পারবেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে সদ্য নিবন্ধন পাওয়া গণ অধিকার পরিষদ তাদের দলীয় প্রচারণার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করছে। তারই অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) গোপালপুর উপজেলার নলিন নঈম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভার আয়োজন করে দলটি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, অর্থ সম্পাদক ফাহিম, টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সজিব, টাঙ্গাইল জেলা বার সমিতির সদস্য ও কেন্দ্রীয় আইনজীবী পরিষদের সদস্য আসাদ ইসলাম প্রমুখ।
পথসভা শেষে তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।