23 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, মোকাবিলার ঘোষণা হাসনাতের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তির উত্থান ও পুনর্বাসন ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে তিনি তার ভেরিফায়েড পেজের এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার যে ‍সংবিধান রয়েছে, যে সংবিধানের রাষ্ট্রপতি (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন)। তিনি কিছুক্ষণ আগে বিবৃতি দিয়েছেন, শেখ হাসিন যে পালিয়েছে তার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। আমরা দেখেছি, গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের যে পতিত আত্মারা রয়েছে তারা বিভিন্নভাবে জড়ো হওয়া পাঁয়তারা করছে। আপনার যদি প্রত্যেকটি ঘটনাকে একত্র করার চেষ্টা করেন, তাহলে দেখবেন, আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হয়ে এ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

আরো পড়ুন  নারী নেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন অপর নেত্রী

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পূর্বে আমাদের সবার একটি পরিচয়ে আমরা একত্র হয়েছিলাম। সেটি হচ্ছে আওয়ামী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। আমাদের সবার পরিচয় আমরা ছিলাম মজলুম, আর আওয়ামী লীগ ছিল জালিম। এ জালিমের বিরুদ্ধে আমরা মজলুম হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের নিজেদের কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থে পৃথক হয়ে গেছি। যার ফলে একটি গ্যাফ ক্রিয়েট হয়েছে। এই গ্যাফের জায়গাটিতে জালিম সরকার আবার পুনর্বাসনের চক কষছে।

আমাদের দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব এবং আমাদের যে যে রাজনৈতিকদল রয়েছে বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির। যারা গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারে বিভিন্ন ‍নিগৃহের শিকার হয়েছেন। আমরা আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, নিজ নিজ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে ৫ আগস্টের পূর্বে যেভাবে মজলুম জনতার কাতারে দাঁড়িয়েছিলাম এবং ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান জারি করেছিলাম এবং নিজেদের এ জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের কাতারে এনে দাঁড় করেছিলাম এ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য এবং আওয়ামী লীগারকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের একত্র থাকতে হবে। আমরা যদি দলীয় স্বার্থে অথবা রাজনৈতিক স্বার্থে পৃথক হয়ে যাই সে সুযোগটি আওয়ামী লীগের পতিত আত্মারা নেবে।

আরো পড়ুন  কী ঘটেছিল বিমানবন্দরে, জানালেন আজহারি

সুতারাং আপনারদের কাছে বিনীত আহ্বান, আপনারা বিভিন্ন জায়গায় যদি খুব মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখবেন বিভিন্ন জায়গায় চক্রান্ত চলছে, বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসন করার বিভিন্ন প্রশাসনিক এবং বিচারিক ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রগুলোকে রুখে দিতে আমাদের জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

সুতারাং, যারা আমরা ৫ আগস্টের পূর্বে মজলুম হিসেবে জনতার কাতারে এসেছি, এ আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য তাদের যে কোনো ধরনের পুনর্বাসন ঠেকাতে আমাদের সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে আমাদের মজলুম পরিচয়ে মাঠে আমাদের অবস্থান জারি রাখতে হবে। না হয়- আবার আমরা দেখব আওয়ামী লীগের পতিত আত্মা বাংলাদেশের এ মাটি দখল করে নিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করব। যাতে আওয়ামী লীগের কোনো পতিত আত্মা আর কোনোদিন বাংলাদেশের মাটিতে পুনর্বাসিত হতে না পারে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগকে  স্থায়ীভাবে বিচারিকভাবে নিষিদ্ধভাবে জন্য আমাদের যত ধরনের পদক্ষেপ আছে আমরা সামষ্টিকভাবে নেব এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায্যতা, দায়-দরদ এবং ইনসাফের দেশ আমরা গড়েই ছাড়ব। আপনারা সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন। আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত করার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম সে সংগ্রাম জারি থাকবে। 

আরো পড়ুন  বন্যায় পাতিলে ভাসতে থাকা শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল
সর্বশেষ সংবাদ