বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ও আহতদের বিচারের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্থানে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী ছাত্র-জনতা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, সাইনবোর্ড, শনির আখড়া এবং যাত্রাবাড়ী থেকে রাজধানীর কদমতলী পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্দনের দাবিগুলো হলো- জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ। যে কোনোভাবে রাজধানীর অসহনীয় যানজট নিরসন করা, সব জায়গা থেকে অবৈধ দখল এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত করা।
ছাত্র-জনতার পক্ষে ইসলামী আন্দোলনের নেতা সাবেক ডিএসসিসির ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, অনতিবিলম্বে ছাত্র-জনতার পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে। তা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণির সাধারণ মানুষ। এই ৫ দফা দাবি শুধু আমাদের দাবি না, এ দাবি হচ্ছে- সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি।
এ সময় মানববন্দনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা কলেজ, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ডা. মালেকা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ। এছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে ভূমিকা রাখা জনপ্রতিনিধিসহ নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিপ্লবী যোদ্ধা তরুণরা।