ভাঙ্গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দ গ্রামের লুৎফর মুন্সীর ছেলে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সালমান মুন্সির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সালমান মুন্সীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মালিগ্রামে কানিজের (ছদ্ম নাম) সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুই বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে। পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওই মেয়ে গর্ভবতী হলে সে বিয়ের জন্য সালমান মুন্সিকে চাঁপ প্রয়োগ করে।
এরপর ওই মেয়েকে কৌশলে ঢাকার শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে জোর করে গর্ভপাত ঘটায়। পরে মেয়েটির ছবি ব্যবহার করে কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে ভাইরাল করে সেসব। এছাড়া রাজধানী টেলিভিশন নামের ইউটিউব চ্যানেলে তৃতীয় চোখ নামে অনুষ্ঠানে ‘ফায়জুর’ নামের সঙ্গে ওই মেয়ের নাম জুড়ে একটি অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সেসব ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় কোনো উপায়ান্তর না দেখে ভুক্তভোগী মেয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ সালমান মুন্সীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এসআই অরুপ কুমার বিশ্বাস জানান, পর্নোগ্রাফি বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সীকে তার বাড়ি বামনকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।