ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে আকাশপথও। কারণ, সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এয়ার টার্বুলেন্স বা বিমানে ঝাঁকুনির ঘটনা বেড়েছে। এতে মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এবার স্পেন থেকে উরুগুয়েগামী এয়ার ইউরোপার একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হন। পরে বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে ব্রাজিলে অবতরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এয়ার ইউরোপা এয়ারলাইন এবং সরকারি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) ভোরে তীব্র ঝাঁকুনির পর ৩২৫ জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানটি উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের নাটাল বিমানবন্দরে জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করে। সেখানে কয়েক ডজনেরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছিল আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য।
ব্রাজিলের রিও গ্রান্ডে ডো নর্তে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবালয় বলেছেন, ‘আঘাত ও ছোটখাটো ট্রমার জন্য ৪০ জন যাত্রীকে নাটালের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ১১ জন মনসেনহোর ওয়ালফ্রেডো গুর্গেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আহতদের মধ্যে স্পেন, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ইসরাইল, বলিভিয়া ও জার্মানির নাগরিক রয়েছেন।
এয়ার ইউরোপা এর আগে জানিয়েছে, সাতজন যাত্রী বিভিন্ন আঘাতের জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ঠিক কতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন সে সংখ্যা প্রকাশ করেনি এয়ারলাইনটি।
এয়ার ইউরোপা আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য মাদ্রিদ থেকে একটি বিমান নাটালে পাঠানো হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বোয়িংটিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।