24 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে তিন মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে পৃথক স্থান থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মুন্সীগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়।

নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে। নিহতের ১৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছে।

আরো পড়ুন  এমপি আনার খুন: ফ্রিজে রাখা হয় খণ্ডিত মরদেহ

অপর ঘটনায় জেলার দামুড়হুদায় মাঠ থেকে আব্দুল মান্নান (৪০) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল মান্নান গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মণ্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হন নিহত আব্দুল মান্নান। রাতে তিনি বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন কোনো সন্ধান পায়নি। পরদিন সকাল ৮টার দিকে গ্রামের মাঠে মৃত অবস্থায় মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন  পুকুর ভাগাভাগি নিয়ে বোন-ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে মান্নান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

অপরদিকে সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামে সাপের কামড়ে সেলিম হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর আনুমানিক ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন  বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে আর ফিরলেন না জাওয়াদ

স্বজনরা জানান, রাতে সাপে কামড়ানোর পরই সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় সেলিমকে। হাসপাতালে সরকারিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ছিল না। টাকা না থাকায় সেলিম ভাড়ায় নিয়ে আসা মাইক্রোবাসের চাবি বন্ধক রেখে দোকান থেকে ১৪ হাজার টাকার এক ডোজ অ্যান্টিভেনম শরীরে পুশ করলেও বিলম্বের কারণে সেলিমকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে তাৎক্ষণিক অ্যান্টিভেনম পাওয়া গেলে হয়তো সেলিমকে বাঁচানো সম্ভব হতো।

সর্বশেষ সংবাদ