জুলাই বিপ্লবের সময় হিফজ শুরু করেছিল নোয়াখালীর প্রখর মেধাবী শিশু হাবিবুর রহমান। সে হিফজ শুরু করেছিল ১৯ জুলাই থেকে, শেষ হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। এতে কোরআন হিফজ করতে তার সময় লেগেছে মাত্র ৪৯ দিন। এই শিশু হাফেজের স্বপ্ন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করা এবং তার মতো বড় আলেম হওয়া।
শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে হাফেজ হাবিবুর রহমান প্রতিদিন নিজের প্লাস্টিকের ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রাখছে। সে জানিয়েছে, বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে হাফেজ বানানো। আল্লাহ আমাকে কবুল করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। হাফেজ হওয়ার পর যেসব হাদিয়া পেয়েছি, সেগুলো এবং আমার কাছে থাকা টাকা প্লাস্টিকের ব্যাংকে জমাচ্ছি, আমি শায়খ আহমাদুল্লাহ হুজুরের সাথে দেখা করতে চাই। তার কাছ থেকে দোয়া নিতে চাই। আমার স্বপ্ন তার মতো বড় আলেম হওয়া।
হাবিবুর রহমানের মা সাজেদা আক্তারবলেন, হাবিব শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য টাকা জমাচ্ছে। প্রতিদিন সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলে আমি হুজুরের সাথে দেখা করতে চাই। হুজুরের সাথে দেখা করার সুযোগ হলে তার আশা পূরণ হবে।
বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কারি শাহাদাত হোসাইন বলেন, হাবিবুর রহমান একজন বিস্ময়কর বালক। আল্লাহ তাকে কবুল করছেন বলেই মাত্র ৪৯ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে। সে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নাজেরা পড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে কোরআন শরিফ হেফজ শুরু করে। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন মুখস্ত করে সে। তার স্বপ্ন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমদুল্লাহর সাথে দেখা করার।